ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চর মানিকা স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে এক শিক্ষকের বাড়িতে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী। কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা বালিয়াকান্দি থানার নবাগত ওসি’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনিষ্ঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্পেশাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেলো রাণীশংকৈলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা বদ্ধপরিকর.. গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে প্রাইভেটকারসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার চরফ্যাশন শশীভুষনে রাতের আধারে প্রবাসীর খামার মাছ লুটপাট আমার পরাণ পাখি (নাতে রাসুল সাঃ) একদিকে পানিবন্দি, অন্যদিকে জরাজীর্ণ ঘর তাসলিমা বেগমের  সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকা হতে ৭৪৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ও প্রাইভেট কার জব্দ।
নোটিশ :
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ

সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার,সৎ বাবাসহ দুই জন গ্রেপ্তার।

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময় ০৩:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬১৯ বার পড়া হয়েছে

 

শাকিল আহমেদ
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর ৯ বছরের শিশু সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ বাবা শরিফুল ও প্রতিবেশী মামা হাসমতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সলঙ্গা থানার অলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশু সানজিদা খাতুন (৯) আমশাড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে। গ্রেপ্তার শরিফুল অলিদহ গ্রামের মো: নুরালের ছেলে ও হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে।
সলঙ্গা থানার ওসি মো: এনামুল হক জানান, নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দেড় মাস আগে জরিনা শ্বশুড়বাড়ী ছেড়ে বাবার বাড়ী চলে যান। শরিফুল তাকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু ফিরে না আসায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হন শরিফুল। হাসমত আলী তাকে বলেন, সানজিদাকে অপহরণ করে তার হাতে তুলে দিলেই তোমার স্ত্রীকে ফেরত পাবে।
এ অবস্থায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় যাবার পথে হাসমত ও শরিফুল সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করে। তারা সদয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নেবার চেষ্টা করে। সানজিদা চিৎকার করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। ওই রাতেই তারা মরদেহ পাশের একটি ধানক্ষেতে পুতে রাখে।
এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সানজিদার সন্ধান না পেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারী তার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় একটি জিডি করেন।
ওসি এনামুল হক আরও বলেন, জিডি হওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ওই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তারা। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ধানক্ষেতে পুতে রাখা অবস্থায় সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার,সৎ বাবাসহ দুই জন গ্রেপ্তার।

আপডেট সময় ০৩:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

শাকিল আহমেদ
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর ৯ বছরের শিশু সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ বাবা শরিফুল ও প্রতিবেশী মামা হাসমতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সলঙ্গা থানার অলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশু সানজিদা খাতুন (৯) আমশাড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে। গ্রেপ্তার শরিফুল অলিদহ গ্রামের মো: নুরালের ছেলে ও হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে।
সলঙ্গা থানার ওসি মো: এনামুল হক জানান, নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দেড় মাস আগে জরিনা শ্বশুড়বাড়ী ছেড়ে বাবার বাড়ী চলে যান। শরিফুল তাকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু ফিরে না আসায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হন শরিফুল। হাসমত আলী তাকে বলেন, সানজিদাকে অপহরণ করে তার হাতে তুলে দিলেই তোমার স্ত্রীকে ফেরত পাবে।
এ অবস্থায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় যাবার পথে হাসমত ও শরিফুল সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করে। তারা সদয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নেবার চেষ্টা করে। সানজিদা চিৎকার করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। ওই রাতেই তারা মরদেহ পাশের একটি ধানক্ষেতে পুতে রাখে।
এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সানজিদার সন্ধান না পেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারী তার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় একটি জিডি করেন।
ওসি এনামুল হক আরও বলেন, জিডি হওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ওই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তারা। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ধানক্ষেতে পুতে রাখা অবস্থায় সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।